গাজার মানবিক বিপর্যয় নিয়ে উয়েফা মুখ খুলল

 হাসিনা-ইনু আলোচনার ফাঁস হওয়া চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে 

শেখ হাসিনা ও হাসানুল হক ইনু

 জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি এবং প্রাক্তন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সাথে শেখ হাসিনার কথোপকথনের একটি রেকর্ডিং ফাঁস হয়েছে। রেকর্ডটি গত বছরের জুলাই আন্দোলনের সময়কার বলে মনে করা হচ্ছে।

সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের ১৭ আগস্ট, রবিবার তার ফেসবুক পেজে রেকর্ডটি শেয়ার করেন। এরপর তা দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।

"আপনার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত সঠিক, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী," ৫:৩৪ সেকেন্ডের অডিও ক্লিপে হাসানুল হক ইনু শেখ হাসিনাকে বলেন। দয়া করে সবাইকে গ্রেপ্তার করতে বলুন। এরপর, মিছিল করার জন্য আর কেউ থাকবে না। শেখ হাসিনা সেই মুহূর্তে ইনুর সাথে একমত হয়ে ঘোষণা করেন, "আমরা যুদ্ধে মিত্র।"

এই জেএসডি নেতা ইন্টারনেট চালু করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, "আমি আপনাকে ইন্টারনেট চালু করার অনুরোধ করেছিলাম। আমরা এতে উপকৃত হব। যেহেতু আমাদেরও সমস্যা হচ্ছে। ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে আমরা মিডিয়াতে খবরের ভাণ্ডার বাড়াতে পারি। "আমরা কীভাবে ইন্টারনেট চালু করব?" হাসিনা সেই মুহূর্তে বলেন। ইন্টারনেটে আগুন লেগেছে। "আমি আর ইন্টারনেট চালু করতে পারব না," হাসিনা সেই মুহূর্তে বলেন। যখন অন্য সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করবে, তখন এটি শুরু হবে।

ইনু বলেন, সেই সময় অন্য কোনও সরকার বাংলাদেশে আসবে না। ইনু বলেছিলেন যে জামাত-শিবিরকে গ্রেপ্তার করা উচিত কারণ তিনি আবারও প্রকাশ পেয়েছেন। তিনি এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাদের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছেন। শেখ হাসিনা সেই সময় ইনুর পরামর্শ মেনে নিয়েছিলেন ক্যাম্পের তালিকা তৈরি করে তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করার জন্য।

এখন পর্যন্ত নেওয়া সমস্ত সিদ্ধান্তই সঠিক, ইনু আগে বলেছিলেন

শেখ হাসিনা এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের মধ্যে একটি ফোন কল এই বছরের শুরুতে ২৫ জুলাই প্রকাশ্যে আসে। সেই ফোন কলটি ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই সন্ধ্যা ৬:৫৫ মিনিটে হয়েছিল। যেখানে শেখ হাসিনা ক্যাম্পাসের অবস্থা সম্পর্কে ইনানের কাছে জিজ্ঞাসা করতে চেয়েছিলেন। "বেশিরভাগই খালি," ইনান তখন হলগুলিতে সাধারণভাবে জনসাধারণের অভাবের কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন। তবে, পুলিশকে এখনও ভেতরে কাজ করতে হবে।

এই ফোন কলের আগে, ১৫ জুলাই, ২০২৪ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর ছাত্রলীগ এবং পুলিশ আক্রমণ করেছিল। আল জাজিরার মতে, ঘটনার দুই দিন পর শেখ হাসিনা এবং ইনান ফোনে কথা বলেছিলেন

ইনান শেখ হাসিনাকে জানান যে তাদের দলের সিনিয়র নেতারা আতঙ্কে আছেন এবং সংগঠনের কাছ থেকে স্পষ্ট নির্দেশনা পাচ্ছেন না। তাই তিনি শেখ হাসিনার সাথে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলছেন। "আমি বারবার আপনার সাথে যোগাযোগ করছি; আপনি কি কিছু মনে করেন?" ইনান ফোন কলের সময় বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, "না, আমি কেন কিছু মনে করব?" আমি আগামীকালও সারা রাত জেগে থাকব।